রোহিঙ্গা শরণার্থী : অদৃশ্য ও তুচ্ছ মানবজীবন
এক.
সম্প্রতি ঢাকায় প্রায়োগিক নৃবিজ্ঞানের একটি সেমিনারে সহকর্মীদের সঙ্গে চায়ের টেবিলে আলাপ হচ্ছিল নিজেদের চলমান গবেষণা এবং বাংলাদেশে গবেষণার এখনকার হালহকিকত নিয়ে। দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা নিয়ে গবেষণার হিড়িক পড়ে গেছে, রঙ্গচ্ছলে এমন কথা হচ্ছিল যে, ‘এখন সবাই রোহিঙ্গা নিয়ে কাজ করছে’। অনেক গবেষককে এ নিয়ে বেশ সরব বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখেছি যে, তারা রোহিঙ্গা গবেষণার জ্বালায় অস্থির হয়ে পড়ছেন। ২০১৭ সালের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঢলের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এদের নিয়ে গবেষণায় ঝুঁকে পড়েছেন। বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সি আর আবরার এবং অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ রোহিঙ্গাদের নিয়ে প্রথমদিকের গবেষণা করেন। রোহিঙ্গাদের নিয়ে প্রথমদিকের এথনোগ্রাফিক গবেষণা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানের অধ্যাপক নাসির উদ্দিন। ফটোগ্রাফিতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছেন সাইফুল হক অমি। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে আমি যে গবেষণা শুরু করি, তা খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে নৃবিজ্ঞানে উচ্চতর গবেষণা করতে গিয়ে আমি রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করার কথা ভাবছিলাম। ২০১২ সালে কক্সবাজার সীমান্তে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসার দৃশ্য এবং বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীদের ‘পুশব্যাক’-এর মর্মন্তুদ আলোকচিত্র আমাকে আলোড়িত করেছিল। বিশেষ করে নৌকায় করে পালিয়ে আসা এক রোহিঙ্গা নারীর বঙ্গোপসাগরের একটি চরে সন্তান প্রসব, প্রসবের পর সীমান্তরক্ষীদের তাকে ফিরে যেতে বাধ্য করার ঘটনা থেকে আমি রোহিঙ্গাদের সমস্যা নিয়ে গভীরে তলিয়ে দেখার তাগিদ বোধ করি। তখন রোহিঙ্গাদের নিয়ে মিডিয়ায় খুব সামান্যই আলোচনা ছিল। গবেষণা জগতেও তেমন কোনো জোরালো শক্তিশালী গবেষণার হদিস পাচ্ছিলাম না। যুক্তরাষ্ট্রের উইস্কনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগে যখন আমি পড়াশোনা করতে শুরু করি, তখন এ বিষয়ে জানা-শোনা শিক্ষক-শিক্ষার্থী কমই ছিলেন।
কিন্তু ২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গাদের মহাঢলের পর বিশ্বজোড়া মিডিয়া সরব হয়ে ওঠে এবং প্রতিদিন এ বিষয়ে ‘ব্রেকিং নিউজ’ পরিবেশিত হতে শুরু করে। এই ২০১৬ সালেও মার্কিন গবেষক আজিম ইব্রাহীম তার রোহিঙ্গা গবেষণাগ্রন্থের নাম দেন ‘গোপন গণহত্যা’। মিয়ানমার থেকে প্রায় চার দশক ধরে বিভিন্ন পর্যায়ে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসার পেছনে আরও দীর্ঘদিন ধরে চলা নিপীড়ন চলে আসছিল প্রায় নীরবে। এই নীরবতা আমাকে হতবুদ্ধ ও বিস্মিত করেছে। প্রবল বিশ্বায়নের এই যুগে, ফেইসবুক সংস্কৃতিতে কীভাবে এত বড় আকারে ধারাবাহিকভাবে দীর্ঘদিন ধরে একটা জাতিকে সাফ করে দেওয়ার কাজটি একটি দেশের সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে, সংবিধান ও আইনি বৈধতার মাধ্যমে একটি ধর্মীয় এবং জাতিগত সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীকে প্রায় নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে, অথচ মিডিয়া ও গবেষক সমাজ দেখতেই পায়নি, সেটা একটা বিস্ময়ের ব্যাপার। বিশেষ করে ২০১৭ সালের গণহত্যা মোকাবিলার বিষয়ে কোনো পূর্বাভাস ও প্রস্তুতি আমাদের ছিল বলে মনে হয় না। মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে সংঘটিত জাতিগত নিপীড়নের ভুক্তভোগী যে বাংলাদেশ হতে পারে এ নিয়ে আমাদের পণ্ডিত, গবেষকদের, নীতিপ্রণেতাদের কাছে কোনো সতর্কবার্তা এসেছিল কি না, এসে থাকলে তা আমলে নেওয়া হয়েছিল কি না তা স্পষ্ট নয়। ওই ঘটনার পর বাংলাদেশের সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও গবেষক সমাজকে সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত অবস্থায় দেখা যায়। অথচ গণহত্যার সব লক্ষণ পূর্বাভাস আকারে অনেক দিন ধরে স্পষ্ট ফুটে উঠেছিল, যার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হওয়ার কথা এ দেশেরই। নিকটতম এক প্রতিবেশী দেশে কী হচ্ছে, তা নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে তো দূরের কথা পণ্ডিত-গবেষকদেরও তেমন সজাগ থাকতে দেখা যায়নি। নিকট প্রতিবেশীদের নিয়ে এই অজ্ঞানতা ও অসতর্কতা আমাদের একটি জাতীয় সংকটের পূর্বাভাস দিতে সক্ষম হয়নি।
দুই.
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে আমার গবেষণার শুরুটা ছিল উইস্কনসিন রাজ্যের বৃহত্তম শহর মিলওয়াকিতে। রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনকারী অন্যতম একটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র। মিলওয়াকিতে প্রায় ৬০০ পরিবারের ২ হাজারের মতো রোহিঙ্গা পুনর্বাসিত হয়েছে। মিলওয়াকির একটি মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজে আমি কিছু রোহিঙ্গার সঙ্গে পরিচিত হই। প্রথমে একটা পরিবারের সঙ্গে কথা হয়, তাদের কাছ থেকে অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ ঘটে। এখানে এরা নিজেদের জন্য একটি মসজিদ ও কমিউনিটি সেন্টার গড়ে তুলেছে। এদের কিছু পরিবার এবং কমিউনিটির নেতার সঙ্গে তিন মাসব্যাপী মাঠকর্ম করে দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে আমি একটি গবেষণা করি ২০১৭ সালের গণহত্যা সংঘটিত হওয়ার আগে। পরের বছর বাংলাদেশে আমি তিন মাস মাঠকর্মভিত্তিক গবেষণা করি ২০১৮ সালে গণহত্যার এক বছর পূর্তির সময়। এই দুই সময়ের মধ্যে একটা নাটকীয় পরিবর্তন আমি লক্ষ করেছি। সেই নাটকীয় পরিবর্তন নিয়েই আজকের এই লেখা।
২০১৭ সালে গণহত্যা থেকে পালিয়ে বাঁচতে ১০ লাখের মতো রোহিঙ্গা আকস্মিকভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে একটি আন্তর্জাতিক সংকটের রূপ নেয় এবং মিডিয়ায় ব্যাপক মনোযোগ লাভ করে, এর আগে যা প্রায় আশ্চর্য রকম নিশ্চুপ ছিল। বাংলাদেশ সরকার তাৎক্ষণিকভাবে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে এক নম্বর জরুরি ভিত্তিতে কক্সবাজারে অতি প্রয়োজনীয় ত্রাণসেবা পরিচালনার অনুমোদন দেয় এবং রোহিঙ্গা সংকট একটি বৈশ্বিক আলোচনায় স্থান পায়। আমি যখন এ ঘটনার আগে মাঠকর্ম করছিলাম, সাক্ষাৎকার থেকে রোহিঙ্গা বিতাড়নের প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য সংগ্রহ করছিলাম, তখন বিস্মিত হয়ে ভাবতাম, এ নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিসরে আলোচনার মারাত্মক অভাব কেন? রোহিঙ্গাদের পক্ষে, রোহিঙ্গাদের হয়ে কথা বলার কেউ নেই কেন? রোহিঙ্গারা নিজেরা কি তাদের কণ্ঠস্বর তৈরি করতে পেরেছে? কেন পারেনি? ইত্যাদি অসংখ্য প্রশ্নের জবাব খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করেছি। যে সামান্য কিছু বয়ান আমি শুনছিলাম, তাতে মনে হচ্ছিল, কীভাবে এসব ভয়াবহ নির্যাতন বিশ্ব উপেক্ষা করতে পারে? মানবাধিকার শব্দটা রোহিঙ্গাদের জন্য কি প্রযোজ্য নয়? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় পাওয়ার আগে এরা দফায় দফায় বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ায় পাচার হয়ে পথে পথে হত্যা, ধর্ষণ, পাচার, দাস সেবা, দৈহিক নির্যাতনের শিকার হয়ে সমুদ্রযাত্রার অনুপযোগী ট্রলারে বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়েছে। ক্ষুধা, তৃষ্ণা, অনাহার, রোগে, ক্লান্তিতে, নির্যাতনে মৃত পরিবার, পরিজন, প্রতিবেশী, বন্ধুর লাশের সঙ্গে এই নারকীয় যাত্রার পর তারা এক সীমান্ত থেকে আরেক সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের মরিয়া চেষ্টা করেছে। অনেকে মানবপাচারকারীদের পাল্লায় পড়ে দাস হিসেবে বিক্রি হয়েছে। কেউ বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় শরণার্থীশিবিরে আশ্রয় পেয়েছে। কিন্তু ওয়ার্ক পারমিট না পেয়ে অবৈধ শ্রমিক হয়ে পুলিশের দ্বারা গ্রেপ্তার, নির্যাতন, ঘুষ, জরিমানার ভেতর এক অতি প্রান্তিক নিঃস্ব জীবন অতিবাহিত করেছে বা করছে। দশ-বারো বছর অপেক্ষা করে কেউ কেউ ইউএনএইচসিআরের মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত মার্কিন মুল্লুকে পুনর্বাসিত হয়।
রোহিঙ্গাদের নিপীড়িত জীবনের বয়ান এখন সমস্ত জায়গায় অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এবং গবেষণায় ব্যাপকভাবে প্রকাশ পাচ্ছে। কিন্তু এরপরও আমার প্রশ্ন, রোহিঙ্গারা কি আদৌ দৃশ্যমান হয়েছে? আমরা কি রোহিঙ্গাদের কণ্ঠস্বর শুনতে পাচ্ছি? রোহিঙ্গাদের ছবিগুলো দেখা যায় প্রধানত পিণ্ডের মতো, যেন একটা ভিড়ের মতো, একসঙ্গে অসংখ্য মানুষ। এতে আলাদা করে কাউকে জানা-বোঝার সুযোগ নেই। রোহিঙ্গাদের আলাদাভাবে পৃথক পৃথক মানবসত্তা হিসেবে, তাদের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে চেনার কোনো উপায় নেই। পুরো জাতি হিসেবে এটা একটা ছোট সংখ্যালঘু জাতি হওয়া সত্ত্বেও ‘রোহিঙ্গাদের অনেক বাচ্চা হয়’ এ ধরনের চলতি আলাপেরও কোনো মিল নেই।
তিন.
পৃথিবীর অপরাপর নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর সঙ্গে রোহিঙ্গাদের একটা বড় পার্থক্যের জায়গা হলো, আপাতদৃষ্টিতে রোহিঙ্গাদের জার্মান দার্শনিক ওয়েবারের সংজ্ঞায়িত কোনো ‘ক্যারিশমাটিক লিডার’ নেই। উপনিবেশিত ভারতের মহাত্মা গান্ধীর মতো, ফিলিস্তিনের ইয়াসির আরাফাতের মতো, দক্ষিণ আফ্রিকার নেলসন ম্যান্ডেলার মিয়ানমারের অং সান সু চির মতো বিশ্বমাপের নেতা, কিংবা বিরসা-মুণ্ডা, সিধু-কানুর মতো ওই সম্প্রদায়ের অবিসংবাদী নেতা রোহিঙ্গাদের মধ্যে দেখা যায়নি। দুনিয়ার কাছে পরিচিত কোনো রোহিঙ্গা কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, শিল্পী, দার্শনিক, চিত্রকর, শিল্পী, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, খেলোয়াড় আছে কি? দীর্ঘ ঐতিহাসিক নিপীড়ন এই জাতিকে কেবল বৈষয়িকভাবেই নয়, বৌদ্ধিক ও আত্মিকভাবেও সম্পূর্ণ নিঃস্ব করে দিয়েছে, অদৃশ্য করে দিয়েছে পৃথিবীর রঙ্গমঞ্চে, ইতিহাস থেকে। রোহিঙ্গাদের নামহীন, চেহারাহীন, পরিচিতিহীন পিণ্ডবৎ উপস্থিতিকে আমি এভাবেই বুঝেছি। কীভাবে মানবজাতির একটি ক্ষুদ্র অংশ মানবতার সম্পূর্ণ বাইরে চলে যেতে পারে, রোহিঙ্গাদের নিপীড়নের ইতিহাস আমাদের সেই শিক্ষা দেয়। মিলওয়াকিতে আমার গবেষণায় আমি দেখেছি এই, নাম-পরিচয়হীন অদৃশ্য রোহিঙ্গারা জগতের লাঞ্ছিত ভাগ্যাহতদের মধ্যেও নিকৃষ্ট নিপীড়নের শিকার হয়েও ফরাসি জেসুইট মনোবিশ্লেষক দার্শনিক মিশেল ডি সরটোর ‘আটপৌরে মানুষ’-এর মতোই সদা কর্মতৎপর। না তারা নিষ্ক্রিয়, না তারা বিপ্লবী। সর্বনিকৃষ্ট এক কর্র্তৃত্বের ছকের অধীনে বাস করেও তারা সর্বদা সেই খেলার দান উলটে দিচ্ছে। কেবল তাদের নেহাত দৈনন্দিন জীবনের প্রবাহের মধ্যেই তারা আত্মপরিচয় প্রতিষ্ঠা করেছে, যে পরিচয় অস্বীকার করেই তাদের এই প্রান্তিক অবস্থায় উৎপাদন। মিয়ানমারে আরাকান লিবারেশন আর্মির বিচ্ছিন্ন নিষ্ফল চেষ্টা বাদ দিলে সংগঠিত রাজনৈতিক প্রতিরোধের প্রায় অনুপস্থিতিতে তাদের প্রাত্যহিক জীবনের ভেতরেই রোহিঙ্গা জীবন ও পরিচয়কে সৃষ্টি করেছে, হোক সেটা রোহিঙ্গা কমিউনিটি সেন্টার, হোক সেটা ধর্মীয় ‘হালাকা’, হোক যৌথ পারিবারিক গতিশীল সহায়তার সক্রিয় ব্যবস্থা। যে ‘রোহিঙ্গা’ নামটি মিয়ানমার রাষ্ট্র উচ্চারণ করতে অস্বীকার করেছে, সেই মিয়ানমারের নিজের পরিচয়ই এখন বিশ্বের দরবারে রোহিঙ্গা নামের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে।
রোহিঙ্গারা দুনিয়ার রঙ্গমঞ্চে এলো গণহত্যার শিকার হয়ে এবং রাষ্ট্রহীন শরণার্থীর পরিচয়ে। শরণার্থী ক্যাম্পগুলো এখন সেই পরিসর, যেখান থেকে রোহিঙ্গাদের মানুষ হিসেবে অস্তিত্ব বজায় রাখার হারানো অধিকার পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে। একদিকে জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রোহিঙ্গাদের জীবনের অধিকারের মামলা এবং অন্যদিকে কক্সবাজারে চলমান মহামানবাধিকার সাহায্য কর্মসূচি এই দুই ব্যাপক কর্মযজ্ঞ মানবসমাজের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই এতে নেতৃত্বের স্বাক্ষর রেখেছে। তাই সবাই গবেষণা করলেও সেটা রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতির জন্য বেশি হয়ে যাবে না।